Colo sikhi

ডিজিটাল মার্কেটিং কি.? কেন করবো ডিজিটাল মার্কেটিং.?

ডিজিটাল মার্কেটিং কি.?  এটা একটা কমন প্রশ্ন কেন কি কারনে আর কিভাবে আমরা  ডিজিটাল মার্কেটিং করবো আজ সে সম্পর্কেই আমাদের আয়োজন। ডিজিটাল মাকের্টিং কি তা জানার পূর্বে আমাদের জানা দরকার আসলে মার্কেটিং বিষয়টা কি.? 


মাকের্টিং কি.? (What is Marketing.?)


সহজ কথায় কোন পন্য বা সেবা তার ভোক্তা বা গ্রাহকের সামনে প্রচরনার মাধ্যমে ভোক্তার কাছে বিপনন করার প্রক্রিয়া কে আমরা মার্কেটিং বলতে পারি। উদাহারন স্বরূপ আপনার পন্য সাবান ধরে নিলাম নাম (ক) এখন এই সাবানটিকে গ্রাহকের কাছে বিক্রয় করার জন্য বা ভোক্তাকে ক্রয় করার জন্য আকৃষ্ট করে বিক্রয় করাটাই হলো মার্কেটিং।
অর্থাৎ আমরা বলতে পারি পন্য উৎপাদন করার পর বিক্রয় করার পূর্ব পযর্ন্ত  যে প্রক্রিয়া গ্রহন করা হয় তার সামগ্রিক নাম হলো মার্কেটিং।
মার্কেটিং বিষয়টা আশা করি আপনারা বুঝেছেন.?  এখন আসি এই মার্কেটিং বিষয়টা কত প্রকার। যদিও প্রকৃতি ও অনান্য বিষয় এর উপর বিবেচনা করলে অনেকগুলি ভাগ করা যায় মার্কেটিং বিষয়টাকে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মার্কেটিং দুই প্রকার। 


(১) ট্রেডিশনাল মার্কেটিং বা প্রথাগত মার্কেটিং।

(২) ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital marketing)


ট্রেডিশনাল মার্কেটিং কি? (What is traditional marketing.?)

সহজ কথায় বর্তমান প্রযুক্তি আসার আগ পর্যন্ত আমাদের পূর্বপুরুষ রা যে পদ্ধতি ব্যাবহার করে তাদের উৎপাদিত পন্যসমূহ বা সেবা সমূহ তাদের ভোক্তাদের কাছে পৌছে দিয়েছে এবং বিক্রয় করার মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করেছে, সেই সামগ্রিক প্রক্রিয়াকে ট্রেডিশনাল মার্কেটিং বা প্রথাগত মার্কেটিং বলা হয়।


ডিজিটাল মার্কেটিং কি.? কেন করবো ডিজিটাল মার্কেটিং.?



ডিজিটাল মার্কেটিং কি.? (What is digital marketing.?)

সহজ কথায় ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে আমরা বলতে পারি যে, ট্রেডিশনাল বা প্রথাগত মার্কেটিং এর বাইরে গিয়ে বর্তমান প্রযুক্তি কে কাজে লাগিয়ে উৎপাদিত পন্য সমূহ ভোক্তাদের কাছে বিক্রয় করার পদ্ধতিকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়। আরো সহজ ভাষায় বললে বলা যায় যে, বর্তমান কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন কে কাজে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে উৎপাদিত পন্য ভোক্তাদের কাছে পৌছে দেওয়া কে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়। এই ডিজিটাল মার্কেটিং কে আবার ডোর টু ডোর বা ম্যান টু ম্যান মার্কেটিংও বলা হয়ে থাকে।


ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবো.?

বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির এই পৃথিবীতে আমরা এক প্রকার ডিজিটালাইজেশনের সুবিধায় বুদ হয়ে আছে। আর এই পৃথিবীর মানুষেরা যেভাবে তথ্যপ্রযুক্তি বা ইন্টারনেটের দিকে যেভাবে ঝুকে পড়ছে দিনদিন তাতে করে একটা সময় ডিজিটাল মার্কেটিং এ হয়ে উঠবে মার্কেটিং এর প্রধান মাধ্যম। 

তাছাড়া মানুষের সমস্ত কাজ অনলাইন ভিত্তিক হওয়ার ফলে মানুষেরা অনলাইনে সময় বেশি দিচ্ছে। যদিও সারা পৃথিবীতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাবহার অনেক হলেও আমাদের দেশে এর ব্যাবহার তুলনামূলক অনেক কম। তবে আশার কথা অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। নিম্নে ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবো তা উল্লেখ করা হল। 


ভোক্তাদের মানসিক পরিবর্তন - 

বর্তমান ডিজিটাল মার্কেটিং করার প্রধান কারনগুলির মধ্যে অন্যতম হল ভোক্তাদের মানসিক পরিবর্তন। একটা সময় ছিলো যখন ভোক্তারা পন্যটি কেমন, যারা ব্যাবহার করছে তাদের মতামত এসব কে গুরুত্ব দিত না। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নয়নের ভোক্তারা ইন্টারনেটে পন্যের ছবি, পন্যের উপযোগীতা এবং কারা কারা ক্রয় করছে তাদের রিভিউ গুলি দেখে তারপর পন্যটি ক্রয় করবে কিনা সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়। যেহুতু আপনার ভোক্তা ডিজিটাল পদ্ধিত ব্যাবহার করে সব দেখছে সেহতু আপনিও   এই ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়া আপনার ক্রেতার  কাছে যেতে পারবেন না ।।


অল্প খরচে ডিজিটাল মার্কেটিং স্টাটেজির প্রয়োগ করা যায়


ডিজিটাল মার্কেটিং করার অন্যতম কারন কম খরচে এর প্রয়োগ করা যায়। আর এটাই হলো প্রচলিত মার্কেটিং এর সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় পাথর্ক্য। এখানে আপনি খুব অল্পসময়ে এবং অল্পখরচে আপনার টার্গেটেড কাষ্টমারের সামনে আপনার পন্যকে তুলে ধরতে পারবেন। আপনি আপনার ফেসবুক পেজ বা ইমেইল কিংবা ইউটিউবের মাধ্যমে সহজেই লাখো মানুষের সামনে আপনার পন্যের বিজ্ঞাপন করতে পারেন। তাও টার্গেটেড ট্রাফিকের কাছে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর দিকে ঝুকে পড়ছে পৃথিবীর সকল কোম্পানিগুলি।


সহজেই ট্রাক করা যায়-

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড়গুন হলো আপনি সহজেই আপনার পন্যের বিজ্ঞাপন ট্রাক করতে পারেন। কে কখন কোন শহর থেকে আপনার পন্য কিনলো বা কিনতে আগ্রহী তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা ট্রাকিং করে সহজেই পেয়ে যায় কোম্পানিগুলি। যদি মার্কেটিং স্টেটাজিতে কোন ফল না আসে তবে সহজেই পরিবর্তন করা যায়। যেটা আমাদের সহজাত বা প্রচলিত মার্কেটিং এ করা যায় না। এবং মার্কেটিং ব্যায়ও অনেক কম।


ট্রেন্ড মার্কেটিং-

ট্রেন্ডগুলি সহজেই সনাক্ত করা যায় এবং সেই অনুযায়ী মাকের্টিং করা যায়। একটা পিকচার বা পোষ্টের মাধ্যমেই কোটি মানুষের কাছে খুব অল্পসময়েই পৌছনা সম্ভব যেটা ট্রেডিশনাল মাকের্টিং এ সম্ভব নয়।


কাষ্টমারের সাথে রিলেশন বিল্ডিং-

 এই পদ্ধতিতে সরাসরি কাষ্টমারের সাথে সম্পর্ক তৈরি যায়। যার ফলে কাষ্টমার সরাসরি তাদের কি প্রয়োজন তা যেমন জানাতে পারে। উদাহারন স্বরূপ আপনি একটা পন্যের ছবি আপনার ফেসবুকে পেজে দিলেন কাষ্টমার সেই পন্যের ছবি দেখে কালার কেমন হয়ছে ইত্যাদ্য সম্পর্কে বলল। ঠিক তখন তেমনি তাদের পছন্দ কি এসব জেনে নিয়ে সেই অনুযায়ী আপনি মার্কেটিং করতে পারবেন । 


প্রতিযোগী ব্যাবসায়ীর সম্পর্কে জানা - 

এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই প্রতিযোগী ব্যাবসায়ীর ব্যাবসার কৌশল সম্পর্কে জানা যায়। সেই অনুযায়ী নিজের মার্কেটিং কৌশল পরিবর্তন করে যথেষ্ট লাভবান হওয়া যায়।


সর্বোপরি সময় পরিশ্রম ও অল্প খরচে যেহুতু অধিক মানুষের কাছে নিজেদের পন্যকে নিয়ে যাওয়া এবং সরাসরি ভোক্তার পছন্দ অপছন্দ জানা যায়,সেই সাথে প্রযুক্তির উন্নয়ন ও আমাদের মানসিক পরিবর্তনের ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং আমাদের করা উচিত বা আমরা করে থাকি।




ধন্যবাদ

মিনহাজ মিজান 



 


Post a Comment

2 Comments